কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অনুরূপ পর্যটন নগরীতে পরিণত হচ্ছে খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প - ২



সৌন্দর্য পিপাসুদের নজরে এখন কক্সবাজার সদর উপজেলার অদূরবর্তী ইউনিয়ন খুরুশকুলের সেই আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ যেখানে পুনর্বাসনের সাথে সাথে পর্যটকদের সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকালের সূর্যদয়ে পূর্বকোণে রক্তিম সূর্য আর বিকেলের সূর্যাস্ত পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেছে যার কারণে পর্যটকের ভিড় এখন খুরুশকুলে। বাঁকখালি নদীর থেকে বের হয়ে মহেশখালী চ্যানেল দিয়ে নৌযান( স্পিড বোট, ফেরি ইত্যাদি)  এসবের আনাগোনা এই জায়গার সৌন্দর্য বৃদ্ধির আরেকটি কারণ। সাদা মেঘমালা, নদীর হালকা হালকা ঢেউ, সবুজ মাঠ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের উঁচু উঁচু বিল্ডিং, মাছ ধরার নৌকা চলাচল, বঙ্গোপসাগরের দৃশ্য, বালির সমাবেশ, খেলার মাঠ আর বসার মতো সুন্দর কিছু জায়গার সমন্বয়ে শেখ হাসিনা সরকারের খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ফুটে উঠেছে পর্যটকের মনে।




গ্রামীণ  জেলেদের বরশী দিয়ে মাছ ধরা, জাল মেরে নদীর বুক থেকে মাছ আহরণ করা এসব যেন এক নতুন সৌন্দর্য উপহার দিয়েছে এই জায়গাকে। প্রতিদিন স্থানীয় পর্যটকদের পাশাপাশি বাইরের পর্যটকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমনকি ইতোমধ্যে অনেক বিদেশি পর্যটকেরও দেখা মিললো সেখানে। প্রতিদিন ১ হাজারেরও বেশি পর্যটক আসেন এই কৃত্রিম সজ্জিত জায়গায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এই প্রকল্পের সকল কিছু পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত। 

মাছ ধরার জন্য জাল মারতেছে জেলে




সৌন্দর্যের প্রতীক হয়েও অনেকটা পরিচর্যার অভাব সেখানে। যদি এই পর্যটন এলাকাকে যথার্থভাবে পরিচর্যা করা হয় তাহলে পর্যটন শিল্পের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দুপুর ২ঃ৩০ মিনিটের পর থেকে পর্যটকদের আগমন হয় আর সন্ধ্যার পরও সেখানে পর্যটকের সন্ধান মিলে। তবে লাইটিং এর ব্যবস্থা না থাকায় তেমনটা সুবিধা পাচ্ছে না পিপাসুরা। 



একদিকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের ভাঙ্গনের সাথে পর্যটকের সংখ্যা কমতেছে আবার অন্যদিকে খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ তে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানকার চেয়ারম্যান জনাব জসিম উদ্দিন জসিম বলেন, " যদি সরকারিভাবে এই জায়গার সংস্কার ও পরিচর্যা করা যায় তাহলে একদিন কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ হবে এই খুরুশকুল।"

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post