সবেমাত্র অনার্সে পদার্পণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি এড়িয়ে এসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ একটা কলেজে পড়ালেখা শুরু। নিজের ইচ্ছে আর আকাঙ্ক্ষা থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়েই পড়ালেখার পথ প্রশস্ত করার সূচনা হলো। সহপাঠীদের সাথে ভাব বনিময় করতে গিয়ে অনেক পুরাতন আবার অনেক নতুন বন্ধু পেয়ে গেলাম। হাসিখুশি চলতে থাকে সময়।
ভার্চুয়াল গ্রুপে সবাই সবার সাথে সংযুক্ত। একে-অপরের খবরাখবর নেওয়া হয়। এমনইভাবে আমিও গ্রুপে বেশ কয়েকজনকে গ্রুপে একটিভ দেখলে আগ বাড়িয়ে খবর নিতাম। এক পর্যায়ে সেখানেই একজনের নাম নিয়ে বন্ধুবান্ধবরা আমার সাথে মজা করা শুরু করে দেয়। অবশ্যই তাদের সেই মজা করা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। কারণ নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, সামাজিক দায়বদ্ধতা এসব চিন্তার মধ্যে অন্য কউকে স্থান দেওয়া আমার পক্ষে মানানসই মনে হলো না। তাই মাঝেমধ্যে তাদের সাথে ওকথা নিয়ে নিজেও মজা করি।
গ্রুপে কখনও যদি তার নাম ম্যানশন দিয়ে খবর নিতে চাই তখনই কয়েকজন পুরাতন বন্ধুবান্ধব সাথে সাথে রিয়েক্ট শুরু করে দেয়। এভাবেই সেটা চলতে থাকে। ব্যাক্তিগত জীবনে আমি একঘেয়েমি ও সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় চিন্তা নিয়ে থাকতাম। সবার সাথে আড্ডা দিতে গেলে যখন সবার ভালোবাসার গল্প শুনি তখন আমারও ইচ্ছে হতো কেউ একজনকে ভালোবাসবো। তার সাথে মনের সকল অব্যক্ত কাব্য বিস্ফোরিত করে তাকে হাসিতে মাতিয়ে রাখবো। তার সাথে সুন্দর একটা সংসার হবে। ঠিক তখনই বন্ধুরা বলে উঠে, "তোকে দিয়ে এসব ভালোবাসা হবে না। কারো সাথে সম্পর্ক হলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। তুই যে পরিমাণ চিন্তাবিদ সেখানে ভালোবাসার ভূত জেগে উঠলেও টিকতে পারে কিনা সন্দেহ"। এই কথাগুলো শুনে আমিও ভালোবাসার সব আজাইরা চিন্তা হেঁসে উড়িয়ে দিয়ে মনের সুখে আড্ডা মারি।
Tags:
লেখালেখি