বর্ষণের হৃদয়
আবদুল নবী
মুখখানা দেখে আমি বিমোহিত চোখে
তাকিয়ে আছি তার বাঁকানো চোখের পলকে
এই যেন বলছে কিছু ভালোবাসার জোয়ারে
ঢেউ দিচ্ছে তাড়া আমি তার স্পর্শকাতর।
বর্ষণকারী ছেড়ে দিলো বারি নয়নের জলে
আমি তার আঁখি ছলছল মুছতে গিয়ে
ডুবে গেলো চোরাবালির প্রবল গ্রাসে
একাই বুক পানে তাকিয়ে আছি সে আসবে বলে।
বার্তা পাঠিয়ে শ্রবণ দিলাম আমায় করিতে মনে
অবসর সময়ে। একটু শ্বাসের আশ্বাস দিয়ে
আমায় যেন বলে "ওহে' নবী, ব্যস্ততাতেও ভাবি শুধু
কাটানো সময়ের পাতানো ভালোবাসার হৃদয়"।
দিবানিশি নিদ্রাহীন নয়নে চেয়ে থাকি মুঠোফোনে
ওপার থেকে মনের কথাটা শুনার তরে।
পলকে পড়েছে ভাঁজ এসেছে ঘুম চিরতরে
অলিখিত গল্পের রমণীর শূন্যতায় প্রাণ যায় যায় করে।
ক্ষণিকের অনুভূতি যার যায়না বুঝা শত চেষ্টায়
তার কিঞ্চিৎ আসবে বুঝে একদিন মন পাঁজরে
তবে আমি আর সেদিন থাকবো না হয়তো এই সুন্দর
স্বর্ণালির বুকে ভালোবাসা-ঝগড়া কিংবা অভিমানে।
তুমি আজ আছ দুরে হৃদয়ের ঘরে দাওনি ছাড়া
দিয়েছো একটু ভোরে কিঞ্চিৎ দিতে বলায়
জানিয়েছ আছ কেমন। করেছ বারণ না জানাতে
অন্যকিছু আর সময় নেই বলে ব্যস্ততার মাঝে।
তবে এতটুকু টলমল করেনি চোখ যতটুকু বর্ষণ
বুকে হলো আত্ম চিৎকার আমায় তাড়িয়ে দেবার
চিন্তা নিয়ে বললো যেতে। তবে হলো না যাওয়া
বলেছি তারে " মরতে পারি তবে ছাড়বো না তারে।"
লেখার সময় ও তারিখঃ ২২/০৮/২০২০ইং
স্থানঃ খুরুশকুল, কক্সবাজার সদর।
উৎসঃ তোমার অনুপস্থিতি।