অশ্রু বিসর্জন দেওয়া তুমি

 


মানুষ প্রেমের পূজারি। কেউ সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে আবার কেউ সেটাকে নিয়ে মজা করে। এই ২০ বছরের জীবনকালে অনেক মানুষের সাথে আমার পরিচয়, ভাব বিনিময় হয়েছে। আবার অনেকের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছিলাম। তারা নিজেদের প্রয়োজনে আমাকে ব্যবহার করতো। আমার ইমোশন নিয়ে খেলা করে এক সময় ছেড়ে চলে যেত। একা কেঁদেছি। সঙ্গ দেওয়ার কেউ ছিলো না। বাবা-মা, ভাই-বোন ছাড়া আমার জন্য কান্না করার কেউ ছিলো না। তবে ক্ষেত্র বিশেষে এই পর্যন্ত ২ জন মানুষ আমার জন্য কান্না করে চোখের জল খরচ করছে। তারমধ্যে একজন কান্না করছে সম্পর্কের শুরুতে। কান্নার কারণ ছিলো আমার অসুখের সময় সে টাকা দিতে চেয়েছিলো আর আমি তাতে সম্মতি দিই নাই। পরবর্তীতে আমাকে নিয়ে তার চোখে কান্না দেখিনি। কান্না তো দুরের কথা উল্টো আমার আবেগ নিয়ে মজা নিলো।

দ্বিতীয় জন ভালোবাসায় আবদ্ধ হওয়ার পর আমার ব্যর্থতায় কষ্ট ভাগ করে নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। আমার ব্যর্থতা তার চোখের পানি বের করে আনে। অনেকটা সময় তার সাথে ছিলাম। অনেক বায়না করা সত্বেও একটা হাগ করলাম না। আর সেই মেয়েটাই বাসায় গিয়ে নিজে ভেঙ্গে পড়লো। আমি যতটা না কষ্টে আছি তার চেয়ে হাজারগুণ বেশি সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। অথচ পরদিন সকালে তার পরীক্ষা। আর এদিকে সে আমার কারনে নিজের পড়া পড়তে পারতেছে না। জানি না এই কান্না কিংবা কষ্ট ভাগ করা করি কত দিন থাকবে তবে আমার প্রতি তার এই ভালোবাসা, কেয়ার করাটা সারাজীবন মনের ডাইরিতে লিখা হয়ে থাকবে। আমার জীবনটা ব্যর্থ। আর এই ব্যর্থ জীবনের সাথে তোমার জীবনটা জড়ানো মানে নিজের পায়ে নিজেই কোডাল মারা।😡

আমিও তোমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসি। বাকিটা ভবিষ্যৎ জীবনে বুঝতে পারবো।

বেনামি পত্র

**লেখকের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।

[পরিচয় গোপন রেখে লেখা প্রকাশ করা হয়। লেখক চাইলে নাম প্রকাশ করা হবে। যারা লেখা পাঠাতে চান তারা ইমেইলে পাঠাতে পারেন। infotechteach21@gmail.com ]

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post