মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে খেলাপি ঋণের তথ্যটা দিতে হয় অবশ্যয় মাত্র ৩৯ মাসে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্টানগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি টাকা।আর এ সময়ে ঋণখেলাপির সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৬ জন।এ হিসাব ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত।ফলে ২০১৮ সাল শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।আর এ সময়ে খেলাপি হয়ে গেছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯০ জন গ্রাহক ও প্রতিষ্টার।
(তথ্য সূত্র প্রথম আলো ২৩ জুন ২০১৯)
এই তথ্য পাওয়া গেছে ২২ জুন জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পরাবার অর্থমন্ত্রীর দেওয়া লিখিত জবাবা। এ সময় শীর্ষ ৩০০ ঋণখেলাপির নামও প্রকাশ করেন তিনি।ওনার তালিকা অনুযায়ী এই ৩০০ খেলাপি গ্রাহকের কাছে আটক প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা মত।পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণের তথ্য দেওয়া হয়।এ হিসেবে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন,এমন গ্রাহকের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬১৭ জন।তাঁদের ঋণের পরিমাণ ৭ লাভ ৮৪ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা।এর মধ্যে খেলাপির পরিমাণে ১ লাখ ১৮৩ কোটি টাকা।
এই হচ্ছে আমাদের দেশের বর্তমানে খেলাপি ঋণের তথ্য।
যতটুকু জানি ব্যাংকে বাংলাদেশের সর্বস্তর জনগণের টাকা রাখা হয় যার যখন ইচ্ছে ব্যাংকে নিজেদের কষ্টের টাকা জমা রাখে।এখন কথা হচ্ছে বাংলাদেশের একটা গোষ্টির হাতের ঋণের নামে এতো টাকা কেন বা গচ্ছিত থাকবে?কিছুদিন আগে প্রথম আলো পত্রিকায় পেয়েছি ২০১৮-১৯ বর্ষে প্রায় ১২০০ হাজার কোটি টাকা মত সুইস ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।এই টাকা কোথায় থেকে অর্জন করে পাঠাচ্ছে তাঁরা তার হিসাব কি কেউ রেখেছেন?ব্যাংক ঋণ নেওয়া যাই বলে সে হিসেবে লাঘব বোয়ালদের মোটা অঙ্কের ঋণ দেওয়া হয় কিন্তু পরিশেষে সেই ঋণ কেন বা খেলাপি ঋণের কাতারে পড়ে যাবে?প্রতিবছর বাজেট থেকে ব্যাংকে ঘাটতি দিতে হচ্ছে তাদের কারণে কিন্তু কেন এমনটা হবে?
যে বাজেট জনগণের জন্য সে জনগণের ভাগ থেকে কেন বা ঋলখেলাপিদের বাঁচাতে ব্যাংকে ক্ষতিপূরণ দিবে?আর ঋণখেলাপি গোষ্টিটার বিরুদ্ধে আজ অবধি কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখলাম না কিন্তু কেন এমনটা হয়?আমরা যদি লক্ষ করি অতিতের সকল সরকারের আমলে ঠিক একই রকম ঋণ খেলাপি হতো তখনও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো না। তার মানে কি তাদের সেই অধিকার আছে সংবিধানে?
যে তারা চাইলে ব্যাংক টাকা লুটে খেতে পারবে?
জানি আমার এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর পাওয়াটা বড় দুষ্কর।
প্রিয় নেত্রী আপনার প্রতি দেশের নাগরিকের অগাড় বিশ্বাস আছে।আপনি সবসময় চেষ্টা করেন আপনার পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার কিন্তু আপনি কেন বা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না আপনার দেশের কিছু লাঘব বোয়াল নিলজ্জ গোষ্টি দিনের পর দিন জনগণের টাকা ঋণের নামে নিয়ে ভোগ করতেছে তাদের বিরুদ্ধে।
তারা কি এতোই শক্তিশালী গোষ্টি?
এরপরও আপনার প্রতি বিশ্বাস রাখি আপনি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন কারণ অন্যায় জিনিসটা আপনি ভালো চোখে দেখেন না।
তরুণদের বলবো, আমরা হয়ত সবাই এক একটা রাজনীতির মতাদর্শে বিশ্বাসী কিন্তু একটা জায়গা গিয়ে একমত সেটা হচ্ছে সবাই দেশের ভালো দিকটায় চাই এরপরও যারা অতি ভক্তি হয়ে সেখান থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে তারা তরুণ নামে কলঙ্ক। অনেকে আবার আমাদের প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতিবীদ বলে আখ্যায়তি করে তাদের দলে ভিড়াতে চাই না।আমরা ও চাই না যারা দেশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে না তাদের দলে ভিড়তে। যে যাই বলুক দেশ, সমাজ নিয়ে চিন্তা করতে হবে তরুণদের।
তাই সকল তরুণদের বলবো নিজ নিজ জায়গা থেকে ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হউন।
কোন দুঃখে তাঁরা জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা ভোগ করবে।
পরিশেষে একজন নগন্য তরুণ হিসেবে সরকারে কাছে তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবি রাখবো, যে সব মিসকিন কোটিপতি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে নিয়ে মেরে খাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
Tags:
লেখালেখি